গলাচিপা প্রতিনিধি ॥ পটুয়াখালীর গলাচিপায় গরুর ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে শ্যামল মালাকার (৫০) নামে এক কৃষকের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীরা বাড়ির ঘর ও মন্দির ভাংচুর করেছে এবং কুপিয়ে পিটিয়ে পাঁচজনকে আহত করেছে। গুরুতর আহত রীতা রানী মালাকারকে (৪০) উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হামলার সত্যতা নিশ্চিত করলেও মন্দির ভাংচুরের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে। এ ঘটনায় শ্যামল মালাকার গলাচিপা থানায় সেলিম বেপারীকে(২৫) প্রধান আসামি করে ২১ জনের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, রোববার বিকেলে উপজেলার বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ছোনখোলা গ্রামের শ্যামল মালাকারের একটি গরু পাশর্^বর্তী সেলিম বেপারীর খেতের ঘাস খেতে নামে। এনিয়ে বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে সেলিম বেপারীর বাড়ির ৩০-৪০ জন লোক শ্যামল মালাকারের বাড়ির তিনটি বসতঘরে হামলা ও ভাংচুর করে। হামলাকারীরা দা,লোহার শাবল, লাঠিসহ বিভিন্ন ধরণের দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাড়িতে স্থাপিত মন্দির ভাংচুর করে। শ্যামল মালাকার অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা বাড়ি ঢুকে কুপিয়ে পিটিয়ে রীতা রানী মালাকার, শ্যামল মালাকার, মিঠুন মালাকার, দীনেশ মালাকার ও সবিতা রানীকে আহত করেছে। রীতা রানী মালাকার উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হাসপাতালের বেডে শুয়ে রীতা রানী অভিযোগ করেন, তার শ্বশুর সুধীর মালাকার বাড়িতে আশ্রম ও মন্দির করেছেন। কয়েক বছর ধরে সেখানে নিয়মিত নাম কীর্তন হচ্ছে। হামলাকারীরা সে মন্দিরের টিনের বেড়া ও চাল ভাংচুর করেছে। মন্দিরের সব বিগ্রহ ভেঙ্গে ফেলেছে। তার আরও অভিযোগ হামলাকারীরা তিনটি বসতঘর ভাংচুর করেছে। সেলিম বেপারীসহ অন্যান্য আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের কারো সঙ্গে যোগাযোগ কিংবা বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে গলাচিপা থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ শওকত আনোয়ার ইসলাম বলেন, ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। হামলা ও মারধরের অভিযোগ সত্য। তবে মন্দির ভাংচুরের কোন ঘটনা ঘটেনি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অভিযোগ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিষ কুমার এ বিষয়ে বলেন, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply